ওয়েব ডেস্ক: যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা (Gaza) এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। খাদ্য, পানীয়, ওষুধ ও চিকিৎসার চরম অভাবে দিন দিন লম্বা হচ্ছে এই প্রদেশের মৃত্যুর মিছিল। রাষ্ট্রপুঞ্জ (United Nations) ইতিমধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে এই অঞ্চলে দুর্ভিক্ষ (Famine) ঘোষণা করেছে। সঙ্গে এও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগামী দুই মাসে দেশের পরিস্থিতি হবে আরও ভয়াবহ। এখন গাজাকে বাঁচাতে পারে বিদেশি সহায়তা ও ত্রাণ।
ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতিতে গাজার প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে চেচনিয়া (Chechnya)। চেচেন নেতা রমজান কাদিরভের নির্দেশে গাজার মানুষের জন্য ১০০ টন চাল, আটা, পানীয় জল ও অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে খবর। কাদিরভ আরও জানিয়েছেন, গাজার অনাহার থাকা মানুষদের প্রতিদিন গরম খাবার ও প্রয়োজনীয় ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: ‘গাজা দখল হবেই’, হুঁশিয়ারি নেতানিয়াহুর
এদিকে শুক্রবারই রাষ্ট্রপুঞ্জের খাদ্য বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, বর্তমানে জাহার অন্তত পাঁচ লক্ষ মানুষ ভয়ঙ্কর খাদ্যসঙ্কটে রয়েছেন। মানবিক সহায়তা বিষয়ক প্রধান টম ফ্লেচার এক বিবৃতিতে জানান, “এই দুর্ভিক্ষ এড়ানো সম্ভব ছিল। কিন্তু ইজরায়েলের বাধার কারণে নিয়মিত ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে গাজার মানুষ খাদ্য পাননি।” তবে ইজরায়েল এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, দুর্ভিক্ষের খবর ‘হামাসের প্রোপাগান্ডা’।
রাষ্ট্রপুঞ্জের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১৫ অগাস্ট থেকে গাজা সিটিতে দুর্ভিক্ষ ভয়াল আকার ধারণ করেছে। ইতিমধ্যেই শহরের অর্ধেকের বেশি মানুষ চরম দারিদ্র্য ও অনাহারে ভুগছেন। সেপ্টেম্বরে এই সংখ্যা বেড়ে ৬ লাখ ৪০ হাজারে পৌঁছতে পারে, যা মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ। সেপ্টেম্বরে শেষ নাগাদ দুর্ভিক্ষ দেইর আল-বালাহ ও খান ইউনিসেও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। অর্থাৎ আগামী এক মাসে উপত্যকার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ অনাহারের শিকার হতে পারেন।
দেখুন আরও খবর: